আজ বন্ধুত্বের বিশেষ দিনে তোকে বড্ড মনে পড়ছে রে।
ইস্কুলের দিন গুলোতে চুটিয়ে ক্রিকেট ফুটবল খেলা। মিলনী মাঠের রাধাচূড়া গাছটার নিচে ঘন্টার পর ঘন্টা আড্ডা দেওয়া। ছুটির দিন গুলোতে অন্য ক্লাবের ছেলেদের সাথে ক্রিকেট ম্যাচ, ক্লাবের হয়ে বিভিন্ন জায়গায় ব্যান্ড বাজাতে যাওয়া। বেশ ছিল দিন গুলো। মনে হয় যেন এই তো সেদিনের কথা।
সময়ের নিয়মে আমরা সবাই আস্তে আস্তে ব্যস্ত হয়ে উঠলাম। দেখা সাক্ষাৎ কমে গেছিল। তবে যেখানেই দেখা হোক তোর হাসি মুখটা দেখলেই এক লহমায় মনটা ভাল হয়ে যেত।
অনেক পরে আমরা বন্ধুরা বুঝেছিলাম তুই খুব খুব ভাল অভিনেতা ছিলিস। চ্যালেঞ্জ করে বলতে পারি মনের কষ্ট ঢেকে ওরকম হাসির অভিনয় জগতের কোন অভিনেতা করতে পারবেন না।
যখন তোকে আর জি কর হাসপাতালে ভরতি করানো হল, তখনো মুখের হাসিটা একই রকম ছিল। অত্যন্ত সাবলীল সেই হাসি। জীবন টাকে খেলাচ্ছলে নিয়েছিলিস তুই।
অনেক বছর পর আমাদের ইস্কুলের বন্ধুদের আবার একটা প্ল্যাটফর্ম এ এনে দিয়েছিলিস। উপলক্ষ ছিলিস তুই।
তারপর মাঝে কয়েকটা দিন্র সুস্থতার অভিনয়। এখন ভারি অদ্ভুত লাগে মাঝে মাঝে, ওই শরীরে তুই কেন আবার ক্রিকেট খেলতে গেলি সেদিন। হ্যা আমরা সবাই জানতাম তুই খেলাটা ভালবাসতিস। খেলতিসও ভাল। তা বলে ওই শরীরে? জীবন টাকে খুব খেলাচ্ছলে নিয়েছিলিস তুই।
রোববার এর সকালে বাজার দোকান করে সবে মাত্র বাড়ি ফিরেছি, তখনই পেলাম খবরটা। বেশ কিছু সময় স্তম্ভিত হয়ে বসে রইলাম। মনে পড়ছিল আমার বাবার কথা। শেষের দিকে এক একজন বন্ধু হারানোর বেদনায় ভেঙে চুরমার হতে দেখেছি তাকে। সেদিন নিজে উপলব্ধি করেছিলাম কারনটা।
খেলতে খেলতেই চলে গেলি তুই। বলের সাথে ব্যাটটাও তো ভাল করতিস বোকা। এত তাড়াতাড়ি আউট হতে হয়? টি টোয়েন্টি এত টানতো তোকে? চালিয়ে খেলতে গেলি কেন? জীবনের এই ক্রিকেট ম্যাচে আমরা সকলে একাই বিরাট কোহলি, একাই অশ্বিন, একাই ধোনি রে। একবারও ভাবলি না তুই আউট হয়ে গেলে টিম টার কি হবে?
এত তাড়াতাড়ি চলে যেতে হয় রে বোকা। দেখ আজ আমরা কেমন ফেসবুক, হোয়াটস্যাপে বন্ধুত্বতা সেলিব্রেট করছি। ভুলে যাস না তোর নম্বর টা কিন্তু এখনো আছে রে আমাদের কনট্যাক্ট লিস্টে।
আজ ফ্রেন্ডশিপ ডের মেসেজ পাঠানোর সময় মোবাইলের স্ক্রিনে ফুটে উঠল রক্তিমের নাম টা। মন টা ভীষন ভারি হয়ে গেল আজ আবারও।
এই লেখা টা আজ শুধু তোরই জন্য রে রক্তিম।
যেখানেই থাকিস ভাল থাকিস বন্ধু। আবার ফিরে ফিরে আসিস আমাদের বন্ধু হয়ে।
হ্যাপি ফ্রেন্ডশিপ ডে।
বন্ধুত্বের মৃত্যু হয় না।
আগস্ট ৫, ২০১৮। রোববার
ইস্কুলের দিন গুলোতে চুটিয়ে ক্রিকেট ফুটবল খেলা। মিলনী মাঠের রাধাচূড়া গাছটার নিচে ঘন্টার পর ঘন্টা আড্ডা দেওয়া। ছুটির দিন গুলোতে অন্য ক্লাবের ছেলেদের সাথে ক্রিকেট ম্যাচ, ক্লাবের হয়ে বিভিন্ন জায়গায় ব্যান্ড বাজাতে যাওয়া। বেশ ছিল দিন গুলো। মনে হয় যেন এই তো সেদিনের কথা।
সময়ের নিয়মে আমরা সবাই আস্তে আস্তে ব্যস্ত হয়ে উঠলাম। দেখা সাক্ষাৎ কমে গেছিল। তবে যেখানেই দেখা হোক তোর হাসি মুখটা দেখলেই এক লহমায় মনটা ভাল হয়ে যেত।
অনেক পরে আমরা বন্ধুরা বুঝেছিলাম তুই খুব খুব ভাল অভিনেতা ছিলিস। চ্যালেঞ্জ করে বলতে পারি মনের কষ্ট ঢেকে ওরকম হাসির অভিনয় জগতের কোন অভিনেতা করতে পারবেন না।
যখন তোকে আর জি কর হাসপাতালে ভরতি করানো হল, তখনো মুখের হাসিটা একই রকম ছিল। অত্যন্ত সাবলীল সেই হাসি। জীবন টাকে খেলাচ্ছলে নিয়েছিলিস তুই।
অনেক বছর পর আমাদের ইস্কুলের বন্ধুদের আবার একটা প্ল্যাটফর্ম এ এনে দিয়েছিলিস। উপলক্ষ ছিলিস তুই।
তারপর মাঝে কয়েকটা দিন্র সুস্থতার অভিনয়। এখন ভারি অদ্ভুত লাগে মাঝে মাঝে, ওই শরীরে তুই কেন আবার ক্রিকেট খেলতে গেলি সেদিন। হ্যা আমরা সবাই জানতাম তুই খেলাটা ভালবাসতিস। খেলতিসও ভাল। তা বলে ওই শরীরে? জীবন টাকে খুব খেলাচ্ছলে নিয়েছিলিস তুই।
রোববার এর সকালে বাজার দোকান করে সবে মাত্র বাড়ি ফিরেছি, তখনই পেলাম খবরটা। বেশ কিছু সময় স্তম্ভিত হয়ে বসে রইলাম। মনে পড়ছিল আমার বাবার কথা। শেষের দিকে এক একজন বন্ধু হারানোর বেদনায় ভেঙে চুরমার হতে দেখেছি তাকে। সেদিন নিজে উপলব্ধি করেছিলাম কারনটা।
খেলতে খেলতেই চলে গেলি তুই। বলের সাথে ব্যাটটাও তো ভাল করতিস বোকা। এত তাড়াতাড়ি আউট হতে হয়? টি টোয়েন্টি এত টানতো তোকে? চালিয়ে খেলতে গেলি কেন? জীবনের এই ক্রিকেট ম্যাচে আমরা সকলে একাই বিরাট কোহলি, একাই অশ্বিন, একাই ধোনি রে। একবারও ভাবলি না তুই আউট হয়ে গেলে টিম টার কি হবে?
এত তাড়াতাড়ি চলে যেতে হয় রে বোকা। দেখ আজ আমরা কেমন ফেসবুক, হোয়াটস্যাপে বন্ধুত্বতা সেলিব্রেট করছি। ভুলে যাস না তোর নম্বর টা কিন্তু এখনো আছে রে আমাদের কনট্যাক্ট লিস্টে।
আজ ফ্রেন্ডশিপ ডের মেসেজ পাঠানোর সময় মোবাইলের স্ক্রিনে ফুটে উঠল রক্তিমের নাম টা। মন টা ভীষন ভারি হয়ে গেল আজ আবারও।
এই লেখা টা আজ শুধু তোরই জন্য রে রক্তিম।
যেখানেই থাকিস ভাল থাকিস বন্ধু। আবার ফিরে ফিরে আসিস আমাদের বন্ধু হয়ে।
হ্যাপি ফ্রেন্ডশিপ ডে।
বন্ধুত্বের মৃত্যু হয় না।
আগস্ট ৫, ২০১৮। রোববার